বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সন্তানেরা বাবার সমস্ত সম্পত্তি লিখে নিয়ে কোনো প্রকার ভরন-পোষন না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন আলম মাদবর নামের এক বৃদ্ধকে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যরা একাধিকবার চেষ্টা করেও কোনো কুল-কিনারা করতে পারেননি। বৃদ্ধ বাবার ভাগ্যে জুটেনি সন্তানদের ভরন-পোষন। উপায়ন্তরহীন বৃদ্ধ স্থানীয়দের সহযোগিতায় সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যার শরণাপন্ন হন।
ভুক্তভোগী উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের আলম মাদবর(৯০) শুক্রবার (৩০ জুলাই) ৬ ছেলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে প্রকাশ, আলম মাদবরের ৬ ছেলে ও ৫ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে হলেও ছেলে হাসমত মেম্বার, আবুল হোসেন, বাবুল হোসেন ও রমজান আলী তার বেশ কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা পয়সা ভাগ-বাটোয়ারাসহ বাকী সম্পত্তি লিখে নেন। বঞ্চিত হন দ্বিতীয় বিয়ের দু’ছেলে সুরুজ আলী ও ছোরহাব আলী। এরপর ছেলেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে বাবাকে ভরন-পোষন করতে অস্বীকৃতি জানান।
বেশ কিছুদিন যাবত বৃদ্ধ অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে থাকেন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে ওসি ওই দিনই সন্ধ্যার পর বৃদ্ধের ছেলে ও আত্মীয় স্বজনদের ডেকে বাবাকে ভরন-পোষনের শর্তে মুচলেকায় সিংগাইর পৌর কাউন্সিলর মো. শামসুল হকের মধ্যস্থতায় সমাধান হয়।
স্থানীয় নূর মোহাম্মদ জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার চেষ্টা করেও সমাধান দিতে পারিনি। ওসি স্যারের হস্তক্ষেপে বৃদ্ধ আলম মাদবর তার ভরন-পোষনের নিশ্চয়তা ফিরে পেলেন।
আলম মাদবরের মেঝো ছেলে আবুল হোসেন বলেন,বাবার বেশ কিছু সম্পত্তি বড় ভাই আদম ব্যবসা করতে গিয়ে নষ্ট করেছেন। যার কারণে বাবার ভরন-পোষন নিয়ে ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমাদের ভাইদের মধ্যে বাবার ভরন-পোষনের জন্য ১ মাস করে সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা বলেন, বৃদ্ধকে ভরন-পোষনের শর্তে তার ছেলেদের কাছে বুঝিয়ে দেয়ো হয়েছে। এর কোনো প্রকার ব্যতিক্রম ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।